ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই আয়ুর্বেদিক ভেষজের পাতা খান
ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে চিনির স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা কম বা বেশি হওয়া উচিত নয়। অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের ঘাটতি হলে ডায়াবেটিস হয়। ইনসুলিন কম উৎপাদনের কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ইনসুলিন হ'ল এক ধরণের হরমোন, যা হজম গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়। এটি খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন, শরীরকে সচল রাখতে হবে, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন এবং কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজ খান। আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিনি নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। গুরমার এমন একটি ভেষজ যা সুগারের রোগীদের জন্য একটি ওষুধ। এই ভেষজটি খেলে চিনি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আসুন জেনে নিই কীভাবে এই ভেষজ চিনি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী প্রমাণিত হয়।
গুরমার ভেষজ কি?
গুরমার এমন একটি গুল্ম উদ্ভিদ যা ভারত সহ অনেক দেশে পাওয়া যায়। ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ এই উদ্ভিদ, ইংরেজিতে এর নাম জিমনেমা সিলভেস্টার। এর ঔষধি গুণের কারণে এটি অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। গুরমার ক্যাপসুল, পাউডার, জুস এবং অন্যান্য পণ্যের আকারে বাজারে পাওয়া যায়।
গুরমার ভেষজ কীভাবে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে:
গুরমারে জিমনেমিক নামে একটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরে উপস্থিত প্রোটিন অ্যাঞ্জিওটেনসিনের কার্যকলাপকে বাধা দিতে সহায়তা করে। এটি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গুরমার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকার বয়ে আনতে পারে। এটি ত্বক থেকে হার্ট পর্যন্ত স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।
গুরমারের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
গুরমার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এগুলো খেলে হৃদরোগ এড়ানো যায়। যাদের ওজন বেশি তাদের এই ভেষজটি খাওয়া উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণে এই ভেষজ অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। গুরমার নিয়মিত সেবন করলে শরীরের ভিতরে ও বাইরের ফোলাভাব কমে যায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরমার কীভাবে সেবন করবেন:
ডায়াবেটিস রোগীরা গুরমার পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
গুরমার পাতার রস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
গুরমার পাতার ক্বাথ তৈরি করে পান করুন।
গুড়মার পাতার গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে নিন।
ডায়াবেটিস রোগীরা ক্যাপসুল আকারে গুরমার খেতে পারেন।
প্র ভ
No comments: