দই খাওয়ার সময় এই ভুল করবেন না
গ্রীষ্ম এসে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আসবে। গ্রীষ্মকালে ভারতীয়দের থালায় দই এবং বাটার মিল্কের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও খুব ভালো। মানুষ নানাভাবে দই খায়। রায়তা থেকে দই ভাত পর্যন্ত অনেক খাবার তৈরি করা হয়।দই হজমশক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটি খাওয়ার কিছু ভুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ হতে পারে। আপনার সতর্ক হওয়া উচিৎ।
দইয়ে এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের পেটের জন্য ভালো। এছাড়াও যারা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু তারা দুধের পরিবর্তে দই খেতে পারেন। দই আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন বি৬, বি১২, ভিটামিন এ, রিবোফ্লাভিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড দইয়ে পাওয়া যায়। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যার সাহায্যে শরীর পুষ্টি শোষণ করে। যারা দই পছন্দ করেন তারা যে কোন সময় এটি খান। তবে আয়ুর্বেদ অনুযায়ী দই খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে এবং তা থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসারের মতে, জেনে নিন দই খাওয়ার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আয়ুর্বেদ অনুসারে দই স্বাদে টক, প্রভাবে গরম এবং হজমে ভারী। এটি ওজন বাড়ায়, শক্তি বাড়ায়, কফ ও পিত্ত বাড়ায়। ডাঃ দীক্ষা বলেন, দই গরম করা উচিত নয় তা না হলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
যারা মোটা, কফের সমস্যা আছে, রক্তপাতের সমস্যা আছে বা প্রদাহের সমস্যা আছে তাদের দই খাওয়া উচিত নয়।
দই কখনোই রাতে খাওয়া উচিত নয়।
দই প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি দই পছন্দ করেন তবে প্রতিদিন বাটারমিল্ক পান করুন এবং কালো লবণ, কালো মরিচ এবং জিরা যোগ করতে ভুলবেন না।
দইয়ে কখনোই ফল রাখবেন না। দীর্ঘ সময় ধরে এটি করলে বিপাকীয় সমস্যা এবং অ্যালার্জিও হতে পারে।
মাংস বা মাছের সাথে দই খাওয়া উচিত নয়। চিকেন, মাটন বা মাছের সাথে দই মিশিয়ে খেলে তা শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
প্র ভ
No comments: