আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
কলার খোসা
কলা ছাড়িয়ে তার খোসা মুখে লাগান। এই খোসা শুধু আপনার মুখের ট্যানিং দূর করবে না, এই খোসা ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকবে। এতে মুখের গর্ত বা বড় হয়ে যাওয়া কোষ.অনেকটা মিলিয়ে যায়। ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই খোসা আপনার দাঁতের জেল্লা ফেরাতেও দারুণ উপকারী। দাঁতে হলুদ ছোপ পড়লে কলার খোসা ঘষে নিন।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসা ফাইবারে ভরপুর। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আপেলের খোসা ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ। তাই এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খোসার মধ্যে রয়েছে আরসোলিক অ্যাসিড যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, স্থূলতার ঝুঁকি কমায়।আপেলের খোসায় আছে পর্যাপ্ত ফাইবার । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) মতে, আপেলের বেশিরভাগ ফাইবার থাকে এর খোসাতে। ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, এবং খাবারের প্রতি লোভ কমায়। এছাড়াও ফাইবার হাড়, যকৃত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার হজম বাড়ানোর জন্য ভাল এবং ডায়াবেটিকসের জন্য উপকারী। ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপেলের খোসার ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে এবং আরও বেশি খাবার খাওয়া থেকে আটকায়। ফলে কম ক্যালোরি খাওয়া হয় আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপেলের খোসায় আছে অত্যাবশ্যক ভিটামিন। ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে আপেলের খোসাতে। তাছাড়া এতে পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মতো অপরিহার্য খনিজ রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই পুষ্টি সব আপনার হৃদয়, মস্তিষ্ক, স্নায়ু, ত্বক এবং হাড় রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বিভিন্ন রান্নায় এই খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি হার্টের রোগীদের জন্য এই খোসা দারুণ উপকারী। ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এই খোসার কোনও তুলনা নেই।কমলার খোসায় রয়েছে অসাধারন পুষ্টিগুণ। মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে অনায়েসেই ব্যবহার করতে পারেন কমলা লেবুর খোসা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা দিনের যেকোনো সময়ে কমলার খোসা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার মাড়িও ভালো থাকবে আর মুখের দূর্গন্ধও অনেকটা দূর হয়ে যাবে।
সেই সঙ্গে কমলার খোসা চিবিয়ে খেলে দাঁত অনেক সাদা ও ঝকঝকে হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভালো ও প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের কালো ও হলদে ভাব দূর করতে পারে কমলার খোসা। শুধু কমলার খোসার ভেতরের দিকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়ে দাঁত ঘষে নিতে হবে। আপনি চাইলে কমলার কাঁচা খোসা বেটে পেস্টের মতোও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের ক্ষেত্রে কমলা লেবুর রস খুবই উপকারি
তরমুজের খোসা
ভাবছেন, তরমুজের এত শক্ত খোসা আবার কী করে খাবেন? না, তরমুজের একেবারে বাইরের সবুজ খোসা খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। তরমুজ কাটলে লাল তরমুজের গায়ে সাদা রঙের যে অংশ থাকে, তা-ও অনেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। তরমুজের ওই সাদা অংশেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬ ও সিট্রুলিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ উপকারী।
No comments: