জানেন কি বাড়তি ওজন ঘুম কম হওয়া অন্যতম কারণ
দিনের পর দিন পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে কমতে থাকে শরীরের বিপাক হার। বিপাক হার কমে গেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ২০২০ সালে ‘জার্নাল অব ডায়াবেটোলজি অ্যান্ড মেটাবলিক সিন্ড্রোম’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র সে কথাই বলছে। কম ঘুম এবং স্থূলতার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে মত গবেষকদের। সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, দিনের পর দিন কম ঘুমাতে থাকলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ বাড়ে। এই স্ট্রেস হরমোন সাধারণত শরীরে মেদ জমিয়ে রাখে। এ ভাবেই শরীরের কর্মশক্তি সঞ্চয় করতে চায়। আর এর ফলে শত চেষ্টা সত্ত্বেও মেদ ঝরতে চায় না। তাই ওজনও কমে না।
পাশাপাশি, কম ঘুমালে কমে যায় বিপাক হার। ফলে হজমের প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। এ সময়ে যা-ই খাওয়া হয়, তা হজম হতে সময় লাগে। সব মিলে ওজন কমতে সময় লাগে।
গবেষকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অপর্যাপ্ত ঘুম থেকে বিভিন্ন উপায়ে ওজন বাড়তে পারে। আমরা মোটামুটি এটা বলতেই পারি যে শক্তি গ্ররহণ বাড়িয়ে দিয়ে বা শক্তি খরচ কমিয়ে দিয়ে অপর্যাপ্ত ঘুম থেকে ওজন বাড়তে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম থেকে নিম্নলিখিতভাবে শক্তি গ্রহণ বেড়ে যায়:
ক্ষিদে বেড়ে যাওয়া: অপর্যাপ্ত ঘুম ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলিকে পরিবর্তিত করে দেয়। তরুণদের মধ্যে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব তরুণ অপর্যাপ্ত ঘুমোন তাঁদের ক্ষিদে উদ্দীপিত করা হরমোনগুলির স্তর বেশি ও সন্তুষ্টি-উদ্রেককারী হরমোনের মাত্রা কম।
জেগে থাকার জন্য আরও বেশি সময় উপলব্ধ করে: যেসব ব্যক্তি রাত্রে কম ঘুমোন তাঁদের হাতে রাত্রে ঘুমোনো ব্যক্তিদের তুলনায় সময় বেশি থাকে। ঘুম থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিরা আরও বেশি টুকিটাকি খেতে থাকেন, বিশেষ করে রাত্রে জেগে থাকলে তো বটেই।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ বাড়িয়ে তোলে: জাপানে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব কর্মচারী ছয় ঘন্টার থেকে কম ঘুমোন তাঁদের বাইরের খাবার, স্ন্যাক্স ও অনিয়মিত খাবার খাওয়ার প্রবণতা ছয় ঘন্টার বেশি ঘুমোন এমন কর্মচারীদের থেকে বেশি।
No comments: