জানেন কি কোন ঘি খেলেই এবার কমবে ওজন? দেখে নিন
ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চেহারায় বয়সের ছাপ আসতে দেয় না। ত্বক উজ্জ্বল করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্যেও এটি দারুণ উপকারী।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি ঘি-র উপকারিতা অনেক। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। তার পাশাপাশি যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও ক্ষেত্রেও ঘি দারুণ উপকারী।
কর্মব্যস্ত জীবনে এখন অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না, ফলে সারা দিন ক্লান্তিভাব থাকে। এক চামচ ঘি খেলে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয় সঙ্গে অবসাদ এবং নানা মানসিক সমস্যাও কমে যায়।
ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায় ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
জেনে নিন কীভাবে খাবেন
গোলমরিচ এবং কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে নিন। এরপর একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে বাটা মশলাটি দিয়ে ফুটতে দিন। এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে দিন সেই জলে। এক মিনিট ধরে ফোটান। ভাল করে ছেঁকে নিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খান এই চা।
খাঁটি ঘি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ, পটাসিয়াম পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রচুর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৯ এর মতো ফ্যাটি অ্যাসিডও এতে পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদ রুজুতার মতে, আমরা কী খাচ্ছি তার ভিত্তিতে ঘি-এর সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, 'আমরা যদি রাগি বা বাজরার মতো রান্না করে থাকি তবে ডাল এবং ভাত খাওয়ার চেয়ে আমরা এতে আরও কিছুটা ঘি যুক্ত করব'। রুজুতা আরও বলেছেন যে ঘি মূলত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা উচিত। তবে এর পরিমাণ এতটা বেশি হওয়ার দরকার নেই যাতে খাবারের স্বাদট নষ্ট করতে পারে।
No comments: