Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

লবণ ব্যবহার করে ত্বকের সৌন্দর্য কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় দেখে নিন

 






চার কাপ জল ২০ মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে গেলে তার মধ্যে মিশিয়ে দিন দু’চামচ নুন। অবশ্যই আয়োডিন ছাড়া নুন ব্যবহার করবেন। এর পর জল ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। তার পর জল ঠান্ডা হয়ে গেলে ধুয়ে নিন মুখ।


 লবণ জলের মধ্যে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। লবণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই পদ্ধতি নিয়মিত মেনে চললে ‘ওপেন পোরস’-এর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।


এই জল দিয়ে মুখে ধুয়ে নিলে একজিমা থেকে শুরু করে, সোরিয়াসিসের মতো রোগের হাত থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। ত্বক কোমল রাখে। এই জলে থাকা ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকের টক্সিন পদার্থগুলি শুষে নেয়, ফলে ত্বক মসৃণ ও তরতাজা দেখায়। এমনকি, ত্বকের আর্দ্রতাজনিত সমস্যাও দূর করা যায় এই উপায়।


লবণ জল ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং দাগ-ছোপ দূর করতে দারুণ উপকারী।

 ত্বকের বলিরেখা কমাতে দারুণ কার্যকর হতে পারে এই জল। বয়স বাড়লে মুখের চামড়া ঝুলে যেতে শুরু করে, দেখতে ভাল লাগে না। নুন জল দিয়ে নিয়মিত মুখ ধুলে এই সমস্যাও দূর হবে।


মেকআপ করার আগে টোনানের বদলে নুন জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ত্বকের আর্দ্রভাব ও জেল্লা দুই-ই বজায় থাকবে। ফলে মেকআপের পর ত্বক শুষ্ক দেখাবে না।


লবণের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহের উপশম করতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া এর খনিজ উপাদানগুলো ত্বকে আর্দ্রতা সঞ্চার করে ও টানটান রাখে।


সুন্দর উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক পেতে দুই চা–চামচ লবণের সঙ্গে চার চা–চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। পরিষ্কার শুকনো ত্বকে মিশ্রণটি মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আঙুল দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।


টোনার

এটি ত্বকের ধুলাময়লা শুষে নেয় এবং সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আনে। আর এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণনাশক হিসেবে কাজ করে। এর জন্য ঘরেই বানিয়ে ফেলুন লবণের টোনার। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে কয়েক চিমটি ইপসম বা খাবার লবণ মেশান। তুলা বা স্প্রে বোতলের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন। 


 অ্যলেক্স, পেকজেলসডটকম

নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের কসমেটিক অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ইন ডারমাটোলজিস্টের ডিরেক্টর যশুয়া জেইকনার বলেন, প্রাকৃতিক লবণের মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ, যা ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ হ্রাস করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করে তুলতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া সামুদ্রিক লবণ এক্সফোলিয়েটর হিসেবে খুব ভালো এবং এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। 


আপাতত জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে আমাদের রূপ–রুটিনে লবণের ব্যবহার করা যেতে পারে—


ব্যাল্যান্সিং মাস্ক


মধু এবং লবণের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহের উপশম করতে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া এর খনিজ উপাদানগুলো ত্বকে আর্দ্রতা সঞ্চার করে ও টানটান রাখে।


সুন্দর উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক পেতে দুই চা–চামচ লবণের সঙ্গে চার চা–চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। পরিষ্কার শুকনো ত্বকে মিশ্রণটি মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম জল দিয়ে আঙুল দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।


টোনার


এটি ত্বকের ধুলাময়লা শুষে নেয় এবং সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আনে। আর এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণনাশক হিসেবে কাজ করে। এর জন্য ঘরেই বানিয়ে ফেলুন লবণের টোনার। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে কয়েক চিমটি ইপসম বা খাবার লবণ মেশান। তুলা বা স্প্রে বোতলের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন।


বডি স্ক্রাব


বডি স্ক্রাব হিসাবে লবণ দারুণ কার্যকর বডি স্ক্রাব হিসাবে লবণ দারুণ কার্যকর। লবণ প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট, যা মৃত কোষ দূর করে ত্বক নরম করে থাকে। এক্সফোলিয়েন্ট বডি স্ক্রাব বানাতে লাগবে কোয়ার্টার কাপ লবণ আর আধা কাপ জলপাই বা নারকেল তেল। এটি স্ক্রাব অনেক দিন রেখে ব্যবহার করা যাবে। স্নানেরর সময় পুরো শরীরে আলতো করে মেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলেই চলবে।


অ্যান্টি এজিং

ত্বক থেকে বয়সের ছাপ তাড়াতে আমরা কত টাকা খরচ করে অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। অথচ আমাদের কিচেনে থাকা লবণ দিয়েই এর সমাধান সম্ভব। তাই বলিরেখাকে বলি দিতে ত্বকে লবণ লাগান। জলপাই তেলের সঙ্গে মিহি গুঁড়া করে লবণ মিশিয়ে ত্বকের যেসব জায়গায় বলিরেখা দেখা দিয়েছে, সেখানে আপার মোশনে (উপরের দিকে) ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ম্যাসাজ করলেই চলবে। এতে বলিরেখা অনেকখানি দূর হবে এবং নতুন বলিরেখা হওয়া প্রতিরোধ করবে।

No comments: