শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লে এসব লক্ষন থেকে সাবধান
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ৪ঠা মে, কোলকাতা: কোলেস্টেরল টিপস: শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। এলডিএল এবং এইচডিএল। এলডিএল মানে খারাপ কোলেস্টেরল। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল যাতে না বাড়ে তা নিশ্চিত করা ভালো। শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই সেই লক্ষণগুলো কী কী।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল যাতে না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকেরা সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অন্যথায় এটি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উচ্চ কোলেস্টেরল একটি মারাত্মক রোগ তবে এটি সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সারা বিশ্বের বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এর প্রধান কারণ আধুনিক জীবনধারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যখন শরীরে কোলেস্টেরল থাকে, তখন কোনও লক্ষণ থাকে না এবং এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় অসাবধানতার কারণে এই অবস্থা হয়। ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে থাকে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কিডনির ক্ষতি
শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কিডনির ধমনীতে প্লাক জমা হয়। কিডনিতে রক্ত সরবরাহ পাওয়া যায় না। রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। কিডনির ব্যর্থতা, যা শরীরের জন্য ফিল্টার হিসাবে কাজ করে, গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যা মারাত্মক হতে পারে।
রক্তনালীতে বাধা
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা রক্তনালীতে জমা হয়। ফলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। ধমনী সংকুচিত হওয়ার ফলে শরীরের অনেক অংশে অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হয়।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে শরীরের ধমনীতে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলস্বরূপ, চাপ বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে। ধমনী শরীরের সমস্ত অংশে রক্ত সরবরাহ করে। যদি এটিতে বাধা ঘটে, রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হবে।
হৃদরোগ সমুহ
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে করোনারি ধমনীতে ফলক তৈরি হয়। ফলে সংকুচিত মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ হয়। তাই বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিউরের মতো বিপজ্জনক রোগ হতে পারে।
No comments: