এদের কখনো জাম খাওয়া উচিৎ নয়
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৮শে জুন, কোলকাতা: কালো রঙের ছোট, বড়ো জাম গ্রীষ্মের মরসুমে আসা শুরু হয়। জাম ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ এবং আমাদের অনেক উপকার দেয়। রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া জাম খেলে অগণিত উপকার পাওয়া যায়। জাম শুধুমাত্র শরীরে রক্তাল্পতা দূর করেনা বরং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি সেরা দেশীয় ওষুধ। শুধু জামই নয়, এর বীজ এবং পাতাও রোগ থেকে বাঁচায়।
জামের উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর অনেকেই এটি বেশি খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু অনেক সময় এটি খাওয়া আপনার জন্য মারাত্মক হতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কখনও কখনও অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আরও অনেক রোগও হয়ে থাকে। একই সাথে, কিছু লোকের জন্য জাম (জামুন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া) খাওয়া ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই ভুল করেও কোন মানুষের জাম খাওয়া উচিত নয়।
ডায়াবেটিস রোগী
ডায়াবেটিস বা হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে জামুনের গুণ রয়েছে। কিন্তু তারপরও ডায়াবেটিস রোগীদের কোন পরিমাণ এটি খাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে ডাক্তারের মতামত নিন। বেশি মিষ্টি জাম খেলে ভারসাম্য বজায় থাকে না।
লিভারের রোগ থাকলে
জামে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড, যা লিভারের রোগের জন্য উপকারী। এইসব রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এইসব রোগীদের জাম খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্দি কাশি
জামের শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কখনও কখনও কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে। এবং সর্দি বাড়তে পারে। তাই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাম খাওয়া উচিত নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
জামুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে জাম খাবেন না।
গর্ভবতী মহিলা
জামুনের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্ট্রেস সিস্টেমকে প্রভাবিত করে যা গর্ভাবস্থায় সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও জামের ব্যবহার রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে।
No comments: