আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানে কংগ্রেসকে নিশানা গিরিরাজের
আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানে কংগ্রেসকে নিশানা গিরিরাজের
নয়াদিল্লী: অযোধ্যায় ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হবে। তবে তার আগেই আমন্ত্রণ নিয়ে চলছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে যিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি যেতে চান না এবং যিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি এখনও আমন্ত্রণ পাননি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কংগ্রেস রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে বিজেপি ও আরএসএসের অনুষ্ঠান বলে বর্ণনা করেছে। কিন্তু কংগ্রেস এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বলে মনে হচ্ছে। প্রথমে গুজরাটের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও বিধায়ক অর্জুন মোধওয়াদিয়া হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান। এবার প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, 'এই লোকেরা সিজেনাল হিন্দু (হিন্দু সাজে), যখন তারা মনে করে যে তাদের ভোট পেতে হবে, তারা সফ্ট হিন্দু হওয়ার চেষ্টা করে। জওহরলাল নেহরুর পর থেকে কংগ্রেসের কেউই অযোধ্যায় যাননি। কংগ্রেস দলই অযোধ্যা মামলাকে আদালতে আটকে দেওয়ার কাজ করেছিল। তাই তাদের অযোধ্যায় যাওয়ার নৈতিক বল নেই।'
অন্যদিকে, বুধবার গুজরাটের কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন মোধওয়াদিয়া এক্স-পোস্টের মাধ্যমে কংগ্রেস সভাপতির সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, এটা দেশবাসীর বিশ্বাস ও আস্থার বিষয়। এই ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে কংগ্রেসের দূরে থাকা উচিৎ ছিল।
আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমও কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে তাঁর প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছেন। তিনি এক্স-পোস্টে লিখেছেন যে, রামমন্দিরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আজ মন ভেঙে গেছে।'
বুধবার কংগ্রেস একটি চিঠি জারি করে বলেছে যে, কোটি কোটি ভারতীয় ভগবান রামের পূজা করে। ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে রাজনৈতিক প্রকল্পে পরিণত করা হয়েছে। জয়রাম রমেশ বলেন, 'অর্ধ-নির্মিত মন্দিরটি শুধুমাত্র নির্বাচনী লাভের জন্য উদ্বোধন করা হচ্ছে।'
No comments: