কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া উপকারী নাকি শুকনো? সঠিক উপায় কি জানুন
কিশমিশ এমনই একটি ড্রাই ফ্রুট, যা মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। এটি প্রায়শই প্রাতঃরাশ বা ডেজার্ট হিসাবে খাওয়া হয়, তবে আপনি কি জানেন যে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখলে এর পুষ্টিগুলি আরও বেড়ে যায়? আসুন জেনে নিই ভেজানো কিশমিশ খাওয়া আর শুকনো কিশমিশ খাওয়ার মধ্যে পার্থক্য এবং কোন পদ্ধতি আপনার জন্য ভালো হতে পারে।
কিসমিস ভিজিয়ে খেতে হবে কেন?
পুষ্টির ভালো শোষক – কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখলে এতে উপস্থিত অনেক পুষ্টি উপাদান জলে দ্রবীভূত হয়। এই কারণে, এই পুষ্টিগুলি আমাদের শরীর দ্বারা আরও সহজে শোষিত হয়।
হজমের সহজ - ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশ নরম হয়, সহজে হজম হয়।
ফাইবারের ভান্ডার- ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশে ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
টক্সিন অপসারণ - কিসমিস ভিজিয়ে রাখলে কিছু টক্সিন জলে দ্রবীভূত হয়, ফলে সেগুলো খাওয়া নিরাপদ হয়।
কিশমিশ ভেজানোর পদ্ধতি
কিশমিশ ভেজানোর পদ্ধতি খুবই সহজ। কিসমিস সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জল ঝরিয়ে, কিসমিস ধুয়ে খেয়ে নিন। আপনি চাইলে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ দই বা সিরিয়ালের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
ভেজানো কিশমিশের উপকারিতা
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়- ভেজানো কিশমিশ হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ- কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে- কিশমিশে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
শক্তির মাত্রা বাড়ায় - কিশমিশে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে শক্তি জোগায়।
No comments: