দূর্বলতা অনুভব করলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি সুপারফুড
খাদ্যাভ্যাস ভালো হলে শরীর সুস্থ থাকে, সেখানে খাদ্যে পুষ্টির অভাব থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেক সময় একজন ব্যক্তি তার হৃদয়ের তৃপ্তির জন্য খায় কিন্তু তবুও শরীরে দুর্বলতা অনুভব করে। অনেক সময় হাত ও পায়ে ব্যথা শুরু হয় এবং ব্যক্তি কোনো কাজ করার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে এমন কিছু সুপারফুড আছে যেগুলো খাওয়া শুরু করলে শরীর সুস্থ বোধ করতে শুরু করে এবং কোনো দুর্বলতা থাকে না। জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলোকে ডায়েটের অংশ করা যায় এবং যেগুলো খেলে শরীরে শক্তি যোগায়।
যেসব খাবার দুর্বলতা কমায়
*খেজুর
খেজুর জলে ভিজিয়ে প্রতিদিন খাওয়া হলে শরীর সুস্থ বোধ করতে শুরু করে। খেজুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস। ভেজানো খেজুর খাওয়া বিশেষ করে স্বাস্থ্য উপকার করে। ভেজানো খেজুরেও রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
*ড্রাই ফ্রুটস (শুকনো ফল)
বাদাম ও আখরোটের মতো শুকনো ফল শরীরে শক্তি যোগায়। এগুলিতে পুষ্টির ভাণ্ডার রয়েছে। এছাড়াও শুকনো ফল শরীরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে যা শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি বজায় রাখে। এই পরিস্থিতিতে, শুকনো ফলগুলি স্ন্যাকস হিসাবে খাওয়া যেতে পারে বা বিভিন্ন খাবারে যোগ করা যেতে পারে, স্মুদিতে যোগ করা যেতে পারে এবং সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
*কলা
কলাও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবারের অন্তর্ভুক্ত। কলাতে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর। দুধে কলা যোগ করে ব্যানানা শেক তৈরি করে পান করলে শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়।
*মিষ্টি আলু
আপনার দুর্বল শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে, আপনি মিষ্টি আলু খাওয়া শুরু করতে পারেন। মিষ্টি আলুতে ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকে। এতে দুর্বলতা দূর হয় এবং শরীরে শক্তি আসে। মিষ্টি আলু বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।
*পালং শাক
সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পালং শাকও তেমনই একটি সবুজ শাক। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের কোষে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে। সাধারণত আয়রনের ঘাটতির কারণে শরীরে দুর্বলতা অনুভূত হয়। তাই পালং শাক সেবন এই দুর্বলতা দূর করতে কার্যকরী।
No comments: