জেলবন্দি সুন্দরী মহিলার প্রেমে পাগল জেলর, আফগানিস্তানে ঘটল এক বিরল প্রেম কাহিনী
আফগানিস্তানের কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে এক চমকপ্রদ ঘটনা। এখানকার জেলর তার কারাগারে এক সুন্দরী পাকিস্তানি বন্দীর প্রেমে এতটাই গভীরভাবে পড়ে যায় যে তাকে বিয়ে করার জন্য সে সব সীমা অতিক্রম করে। এখন এই জেলর আফগানিস্তানে তুমুল সমালোচিত হচ্ছে। বলা যায়, এই জেলর আর কয়েদির একতরফা প্রেমের গল্প চলচ্চিত্রের গল্পের চেয়ে কম নয়।
পাকিস্তান থেকে 21 বছর বয়সী এক তরুণী তার প্রেমিকের সাথে আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল। যেহেতু,আফগানিস্তানে বিয়ে ছাড়া কারো সাথে বসবাস করা অপরাধ। তাই ওই নারী ও তার প্রেমিক দুজনেই ধরা পড়ে এবং তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পাকিস্তানি মেয়ে এখানে এসে আটকে যায়।
পাকিস্তানি বন্দীর সৌন্দর্যে হৃদয় হারায়
আসলে, আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার অঞ্চলের কারা পরিচালক মুক্তাদা হাফিজ নাসিরুল্লাহ যখন রাজ্যের কারাগারগুলি পরিদর্শন করছিলেন, তখন তাঁর চোখ পড়ে এই পাকিস্তানি মহিলা বন্দীর দিকে। জেলর এই সুন্দরী 21 বছর বয়সী পাকিস্তানি মেয়েটির প্রতি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি তাকে অবিলম্বে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা বন্দী বিয়ে করতে রাজি হননি।
জেলর মেয়ের প্রেমিককে ছেড়ে দেয়
এরপর জেলারের কাছে মেয়েটির প্রেমিক ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি ভেবেছিলেন, যদি পথের কাটা সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি এই পাকিস্তানি মেয়েকে কারাগার থেকে উদ্ধার করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে পারবেন। এরপর জেলর অন্য কারাগারে মেয়েটির প্রেমিককে খুঁজে বের করে প্রচণ্ড মারধর করেন। তারপর তাকে এই শর্তে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় যে, তিনি যেন কাউকে না বলেন যে তার সাথে একজন পাকিস্তানি মেয়ে এসেছে। নিজের প্রাণের ভয়ে জেলারের শর্ত মেনে নেন প্রেমিক। এরপর কারাপ্রধান মহিলা বন্দিকে বলেন, তার প্রেমিক পালিয়ে গেছে, তাই তাকে এখন বিয়ে করতে হবে।
তবে পাকিস্তানি মেয়েটি রাজি না হলে জেলর তাকে জোর করে বিয়ে করে জেল থেকে বের করে জালালাবাদে একটি ভাড়া বাসায় রাখে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই এই খবর ফাঁস হয়ে যায় এবং এর পর জেলেরের জীবন কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রথমে, আফগান তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি অধিদপ্তর এই বিষয়ে একটি তদন্ত স্থাপন করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কারা প্রধান মুক্তাদা হাফিজ নাসিরুল্লাহকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তালেবান প্রশাসনের আধিকারিকরা এইভাবে জোরপূর্বক বিবাহ পরিচালনা করে চলেছে, তাই এই বিষয়ে জেলারের বিরুদ্ধে কোনও সরকারী অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
Labels:
Entertainment
No comments: