Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

অ্যানিমিয়া‍: শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে আজ থেকেই শুরু করুণ এসব খাবার


 অ্যানিমিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন শরীরের টিস্যুতে পৌঁছায় না, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।  রক্তের অভাব হলে শ্বাসকষ্ট, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।  এ ছাড়া রক্তাল্পতা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে, ব্যক্তি শক্তি হারাতে শুরু করে, ক্লান্ত বোধ করে এবং শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে অসুবিধা হয়।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা রক্ত ​​বাড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।  সঠিক খাবার খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি দূর করা যায়।  রক্ত বাড়ায় এমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও খাদ্য উপাদান সম্পর্কে তথ্য নিচে দেওয়া হল।

1. আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্ব আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য একটি প্রধান পুষ্টি উপাদান।  হিমোগ্লোবিন হল রক্তে পাওয়া প্রোটিন যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করে।  আয়রনের ঘাটতির কারণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে রক্তশূন্যতার সমস্যা হয়।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ শাক-সবজি: পালং শাক, সরিষার শাক, মেথি এবং বাথুয়ার মতো সবজি আয়রনের চমৎকার উৎস।  বীটরুট এবং ডালিম: এই ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।  বীটরুট রক্ত ​​বৃদ্ধিতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।  গুড়: প্রাকৃতিক মিষ্টির পাশাপাশি এটি প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং শরীরে রক্ত ​​বাড়াতে সাহায্য করে।  লাল মাংস: মুরগির কলিজা, মাছ এবং ডিমও আয়রনের ভালো উৎস।  তবে লাল মাংস সুষম পরিমাণে খেতে হবে।

2. ভিটামিন সি এর ভূমিকা: আয়রনের ভাল শোষণ শরীরে ভিটামিন সি এর উপস্থিতির উপর নির্ভর করে।  ভিটামিন সি শরীরে আয়রন দ্রুত শোষিত হতে সাহায্য করে।  তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি গ্রহণ করা জরুরী।

3. ভিটামিন বি 12 এবং ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন ভিটামিন বি 12 এবং ফলিক অ্যাসিড শরীরের সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা গঠনের জন্যও অপরিহার্য।  এদের ঘাটতিও রক্তস্বল্পতার কারণ হতে পারে।  বি 12 ঘাটতি বিশেষ করে নিরামিষাশীদের মধ্যে সাধারণ কারণ এটি বেশিরভাগ প্রাণী-ভিত্তিক খাবারে পাওয়া যায়।

ভিটামিন B12 সমৃদ্ধ খাবার: দুধ এবং ডিম: উভয়ই B12 এর ভালো উৎস।  নিরামিষাশীরা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে B12 সম্পূরক ব্যবহার করতে পারেন।  মাংস, মাছ এবং ডিম: আমিষ জাতীয় খাবারে ভালো পরিমাণে B12 থাকে, যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক।  ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ শাক-সবজি: পালং শাক, ব্রকলি এবং শালগম ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস।  মটর ও ডাল: এতে ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্ত ​​গঠনে সাহায্য করে।

4. দুগ্ধজাত পণ্যের গুরুত্ব দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি প্রদান করে না, বরং সুস্থ রক্তকণিকা বজায় রাখতেও সহায়ক।  এই পণ্যগুলি হাড়ের শক্তি এবং রক্ত ​​গঠনে ভূমিকা রাখে।  এ ছাড়া গুড় ও চিনাবাদাম খাওয়াও উপকারী, কারণ এগুলো শরীরে শক্তি জোগায় এবং রক্ত ​​বাড়াতে সাহায্য করে।

5. পর্যাপ্ত জল পান: শরীরে রক্ত ​​চলাচল ভালো রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  জল রক্তকে পাতলা রাখে, যার কারণে শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টির সঞ্চালন হয়।  শরীরে জলের অভাবে রক্ত ​​ঘন হতে পারে, যা রক্ত ​​চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

No comments: