হিন্দুদের জন্য বাংলাদেশ নরকে পরিণত হয়েছে, অথচ নোবেল বিজয়ী ইউনূসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুশ নেই
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাদের মন্দিরকে টার্গেট করা হচ্ছে। শুক্রবার চট্টগ্রামে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এরপর ভৈরবে ইসকন মন্দিরে হামলা হয়। প্রকাশ্যে হিন্দুদের হত্যার আবেদন করা হচ্ছে ভারত প্রতিবাদ করলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতকে দোষারোপ করতে থাকেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হুসেন বলেছেন, ভারতের বাংলাদেশের উদ্বেগের সমাধান করা দরকার এবং এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। সম্পর্ক উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের নয়, ভারতের দায়িত্ব।
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা আরো তীব্র হয়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। হিন্দু-বিরোধী এবং ইসকন-বিরোধী স্লোগান তুলেছেন। যে মন্দিরগুলি ভাংচুর করা হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে শান্তনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দির। এটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার ইসকনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করছে।
তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার কোন কথা বলেননি। উল্টে পুরনো কথা উল্লেখ করে ভারতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিগত সরকার ভারতের উদ্বেগের কথা বললেও ভারত বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনো সুরাহা করেনি। সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স আয়োজিত গোলটেবিল সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তৌহিদ হোসেন বলেন, তিস্তার জল বণ্টন বা সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যুদ্ধ ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড আর কোনো দেশে ঘটে না।
No comments: