পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা উপনির্বাচন: বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে 69.29 শতাংশ ভোট পড়েছে
বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুথ ও স্ট্রংরুমের বাইরে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ছয়টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা 23 নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
উপনির্বাচনের সময় কয়েকটি আসনে সহিংসতা ও বিরোধের খবর পাওয়া গেছে। মেদিনীপুরের একটি বুথের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা এবং তার পোলিং এজেন্টের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মাইকিং করে এলাকা খালি করা হয়।
ভোটের শতাংশ-
বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৯.২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে তালতাদায় 75.20 শতাংশ, যেখানে নৈহাটিতে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে 62.10 শতাংশ। অন্যান্য আসনে ভোটের হার ছিল নিম্নরূপ-
সিতাই: ৬৬.৩৫ শতাংশ
মাদারিহাট: ৬৬.৩৫ শতাংশ
হারোয়া: 73.95 শতাংশ
মেদিনীপুর: ৭১.৮৫ শতাংশ
তালড্যাংড়া: 75.20 শতাংশ
বিতর্ক ও অভিযোগ-
উপনির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মাদারিহাটে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়িতে হামলা ও পাথর ছুঁড়েছে তৃণমূল কর্মীরা। অন্যদিকে, নৈহাটির একটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সিতাইতে ইভিএম বোতামে টেপ দেওয়ার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে বিজেপি নির্বাচনী কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ তোলে।
প্রধান প্রার্থী এবং ভোটারদের প্রতিক্রিয়া-
এই নির্বাচনে মূল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। কংগ্রেস ও বাম দলগুলোর মধ্যে জোট না থাকায় এই দলগুলো আলাদাভাবে নির্বাচনে লড়ছে।
শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ছয়টি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মোট 108টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সিথাইতে 18টি, মাদারিহাটে 18টি, নৈহাটিতে 13টি, হাড়োয়ায় 18টি, মেদিনীপুরে 19টি এবং তালডাংরায় 22টি সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই 108টি কোম্পানির মধ্যে 102টি কোম্পানিকে বুথের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে, বাকি ছয়টি কোম্পানি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা দেবে।
No comments: