দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে অন্ত্যত তিন দিন এই তেলের প্রদীপ জ্বালান

 হিন্দু ধর্মে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা বাড়িতে পূজা-অর্চনা করা হয়।  এতে পরিবারে সুখ, শান্তি ও আশীর্বাদ বজায় থাকে।  বিশ্বাস অনুসারে, নিয়মিত পূজা কেবল মনকে শান্ত করে না, শুভ ফলও বয়ে আনে।  এই সময়ে সর্বদা প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা শুরু হয়। 

বিশ্বাস অনুসারে, অগ্নিদেবকে সাক্ষী রেখে কাজ করা হলে তা সর্বদাই সফল হয়।  সাধারণত বাড়িতে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়।  কিন্তু জানেন কি সপ্তাহে তিন দিন বিভিন্ন তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে অনেক সমস্যার উপশম হয়।  এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থার ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।  এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই তিনটি ভিন্ন প্রদীপের কথা।

 সরিষার তেলের বাতি

 সপ্তাহের সোমবার ভগবান শিবের উপাসনার জন্য উৎসর্গ করা হয়।  এই দিনে তাঁর আরাধনা করলে সাধক কাঙ্খিত ফল লাভ করেন।  বিশ্বাস অনুসারে, সোমবার বেলপত্র গাছের নীচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালানো উচিত।  এতে দাম্পত্য জীবনে চলমান সমস্যা দূর হয় এবং সম্পর্ক মজবুত হয়।

 তিলের তেলের প্রদীপ

 সপ্তাহের মঙ্গলবার হনুমান ভক্তদের জন্য খুবই বিশেষ।  এই দিনে বজরংবলীর পুজো করার প্রথা রয়েছে।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মঙ্গলবার ভগবান হনুমানের সামনে তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালালে মঙ্গল সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।  শুধু তাই নয়, সাধকের মন থেকে সমস্ত ভয়ও দূর হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার এভাবেই প্রদীপ জ্বালান

 হিন্দু ধর্মে, বৃহস্পতিবারকে ভগবান বৃহস্পতির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  এই দিনে হলুদ রঙের জিনিস দান করলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহস্পতিবার তেলে হলুদ মাখিয়ে বেলপত্র গাছের কাছে প্রদীপ জ্বালান।  এটি গুরু দোষ সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।  শুধু তাই নয়, গ্রহের বিভেদ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 প্রদীপ জ্বালানোর সময় মন্ত্র

 প্রদীপ জ্বালানোর সময় এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে।

 মন্ত্র- শুভম করোতি কল্যাণম, আরোগ্য ধনসম্পদম, শত্রু বুদ্ধি বিনাশয়, দীপম জ্যোতি নমোস্তুতে।