শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে আজ থেকেই এই খাবার গুলো তাদের ডায়েট যোগ করুণ
আজকাল শিশুরা প্রায়ই মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপে ব্যাস্ত থাকে। ভালো খাবার যেমন স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তেমনি চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডায়েটও বড় ভূমিকা পালন করে। এটা প্রায়ই দেখা যায় যে যাদের খাবারে পুষ্টির অভাব রয়েছে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে, যেমন হাড়ে ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং চুল পড়া ইত্যাদি। দুর্বল দৃষ্টিশক্তির কথা বললে, এই সমস্যাটি শুধু বড়দের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না, শিশুরাও অল্প বয়সেই দুর্বল দৃষ্টিশক্তির শিকার হয়। সারাদিন পড়াশুনা বা টিভি বা মোবাইলে চোখ আটকে রাখার কারণে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায় এখানে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হচ্ছে যা খেলে শিশুদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে পারে। এতে চোখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
যেসব খাবার শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এমন খাবার
গাজর
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে শিশুদের গাজর খাওয়ানো যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে কার্যকরী। গাজর ছাড়াও মিষ্টি আলু এবং আমেও প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, লুটেইন এবং জিক্সানথিন থাকে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডিমকে ডায়েটের অংশ বানিয়ে চোখের বাহ্যিক ক্ষতি কমায় এবং রেটিনা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেজন্য বাচ্চাদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ানো যেতে পারে।
কমলা
ভিটামিন সি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। লেবু, কমলা এবং আমলা ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস।
সবুজ শাক সবজি
সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, কালে এবং কলার শাক ভিটামিন সি, লুটেইন এবং জিক্সানথিন সমৃদ্ধ। এগুলো খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শিশুদের চোখ দ্রুত নষ্ট হয় না।
বাদাম
দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ায় বাদাম ফ্রি র্যাডিক্যাল দূরে রাখে যা চোখের ক্ষতি করে। এটি বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকেও চোখকে মুক্তি দেয়।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং চোখের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতেও কার্যকর। লাইকোপিন চোখের রোগ দূরে রাখতেও সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদেরকেও প্রতিদিন টমেটো খাওয়ানো যেতে পারে।
Labels:
health
No comments: