Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

যে ৪ধরনের লোকের কখনোই কিশমিশ খাওয়া উচিৎ নয়


 শীতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকেই ড্রাইভার ফ্রুটস বা শুকনো ফল খান।  এই শুকনো ফলগুলি বেশ স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।  এর পাশাপাশি এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।  যার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।  অনেকে সারারাত শুকনো ফল ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে নিয়মিত খান।  শুকনো ফল যা ভিজিয়ে খাওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে বাদাম, আখরোট এবং কিশমিশ ।  যদিও এসবই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী , কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কিশমিশ না খাওয়াই ভালো।  কিন্তু আপনি কি জানেন কাদের কিসমিস খাওয়া উচিত নয়? 


1. ডায়াবেটিক রোগী

যারা সুগার বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের কিসমিস খাওয়া উচিত নয় বা খুব কম খাওয়া উচিত।  তার কারণ কিশমিশে উপস্থিত চিনি।  কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে চিনি রয়েছে।  যা রক্তে শর্করাকেও প্রভাবিত করে।  যদি কিশমিশ খেতেই হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন।

2. ফাইবারও একটি  কারণ

কিশমিশে খুব ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে।  ফাইবার খাওয়া উপকারী হলেও যাদের গ্যাস বা হজম সংক্রান্ত অন্য কোনো সমস্যা আছে তাদের কিসমিস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

3. কিডনির সমস্যা

কিশমিশে খুব ভালো পরিমাণে একটি যৌগ থাকে।  এই যৌগটিকে অক্সালেট বলা হয়।  এই যৌগ কিডনিতে পাথরের একটি প্রধান কারণ।  যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদেরও কিসমিস খাওয়া কমাতে হবে।

4. খাবারের অ্যালার্জির ক্ষেত্রে

যে ব্যক্তিরা যেকোন ধরনের অ্যালার্জিতে ভোগেন, বিশেষ করে খাবার সম্পর্কিত।  সেসব লোকদের ভেবেচিন্তে কিশমিশ খাওয়া উচিত।  কিছু কিশমিশ খাওয়া উচিত এবং দেখতে হবে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা।  সালফাইট প্রায়শই অ্যালার্জির কারণ যা অনেক ধরণের শুকনো ফলের সংরক্ষণকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

এই জিনিসগুলি মনে রাখবেন

এসবের পাশাপাশি কিছু বিষয় মনে রাখাও জরুরি।  যেমন, কিসমিস ভিজিয়ে রাখার পর যতটা সম্ভব সেবন করুন।  সারারাত ভিজিয়ে কিশমিশ খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।

শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে কিসমিস খান।  অতিরিক্ত পরিমাণে কিশমিশ খেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।   

সরাসরি কিশমিশ না খেয়ে কোনো কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।  উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ক্ষীর বা হালুয়ায় কিশমিশ যোগ করেন এবং সেগুলি খান তবে কিশমিশ স্বাদ বাড়ায় এবং পুষ্টিও দেয়।

কিশমিশ জলে ভিজিয়ে খাওয়া হয় কেন?

কারণ কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখলে এর চেহারা স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশের খোসা নরম হয়ে যায়, যা খেতে সহজ করে।

জলে  ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল ভালোভাবে শোষিত হয়।

কিশমিশ ভিজিয়ে রাখলে দল শুষে নেয়, ফলে সেগুলো আরও হাইড্রেটেড এবং তাজা হয়।

ভেজানো কিশমিশ খাওয়া হজমের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
 

দিনে কয়টি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া উচিত? 

প্রতি রাতে 20 থেকে 30টি কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান।  ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশের খোসা নরম হয়ে যায়, যার কারণে এর ভিটামিন ও মিনারেল খেলে সহজেই শরীরে পৌঁছায়।

No comments: