খাবার তেলেই লুকিয়ে আছে ক্যান্সারের জীবানু

 সবাই সুস্বাদু খাবার পছন্দ করে।  খাবারকে সুস্বাদু করতে, আমরা প্রায়শই এতে প্রচুর পরিমাণে তেল যোগ করি বা যারা জাঙ্ক ফুড খেতে পছন্দ করেন, বেশিরভাগ জিনিসেই তেল ব্যবহার করা হয়।   তেল আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে এবং আমরা ভুলে যাই যে এই তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কি না।  আমরা রান্নার তেল ব্যবহার করি খাবার ভাজাতে, খাবারের স্বাদ বাড়াতে।

আপনি কি জানেন রান্নার তেল থেকেও ক্যান্সার হতে পারে?

মার্কিন সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে রান্নার তেল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।  একটি গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যমুখী, ক্যানোলা, ভুট্টা এবং আঙ্গুর বীজের তেলের অত্যধিক ব্যবহার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।



গবেষণায় কী বেরিয়ে এসেছে?

যখন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের উপর গবেষণা করা হয়েছিল, তখন দেখা গেছে যে তাদের উচ্চ মাত্রায় বায়োঅ্যাকটিভ লিপিড রয়েছে যা বীজের তেল ভেঙে যাওয়ার পরে তৈরি হয়।  এই গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩০  থেকে ৮৫ বছর বয়সী মানুষের থেকে ৮১ টি টিউমারের নমুনা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং বীজের তেলকে ক্যান্সারের টিউমারে উচ্চ পরিমাণে লিপিডের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়েছে।

কিভাবে বীজ তেল এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত?

গবেষণায় স্বাস্থ্যের উপর বীজের তেলের ক্ষতিকর প্রভাব প্রকাশ পেয়েছে, যাতে দেখা গেছে যে এটি আমাদের শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।  যাইহোক, বীজের তেল যে বায়োঅ্যাকটিভ লিপিডগুলিকে ভেঙে ফেলে তা কোলন ক্যান্সারকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরকে টিউমারের সাথে লড়াই করা থেকেও বাধা দিতে পারে।  বীজের তেলে ওমেগা -6 এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।  গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে যদি বীজের তেল অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে এটির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ ক্যান্সারের বিকাশকে উন্নীত করতে পারে।