স্থূলতা কমবে, মুখে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে! মাত্র ৩০ দিনে নিন চ্যালেঞ্জ
বিটরুট এবং আমলকি উভয়ই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শীতের মৌসুমে এই দুটোই খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । তাই এই দুটি মিশিয়ে তৈরি জুস শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই বীটরুট এবং আমলকির রস ৩০ দিন পান করলে আমরা কী কী উপকার পেতে পারি।
পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম- বিটরুট এবং আমলকির উভয়ই ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমশক্তি উন্নত করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
পাচক এনজাইম- আমলকি হজমকারী এনজাইমগুলির উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়, যার কারণে খাবার সহজে হজম হয়।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়
ভিটামিন সি- আমলকি ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- বিটরুট এবং আমলা উভয়েই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- বিটরুটে নাইট্রেট পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কম কোলেস্টেরল- নিয়মিত বিটরুট এবং আমলকির জুস পান করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
রক্ত বিশুদ্ধ করে
Detoxify- বিটরুট এবং আমলকি উভয়ই শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
উজ্জ্বল ত্বক- বিটরুট এবং আমলকি উভয়ই ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-এজিং- এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
অন্যান্য সুবিধা
ওজন কমাতে সহায়ক- বিটরুট এবং আমলা উভয়ই কম ক্যালরিযুক্ত খাবার, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া- আমলায় রয়েছে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
দাঁত ও হাড়ের জন্য- আমলা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
বিটরুট এবং আমলকির জুস কিভাবে তৈরি করবেন?
উপাদান:
১ বিটরুট
২-৩ আমলকি
জল
লেবু
পদ্ধতি:
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধুয়ে এবং খোসা ছাড়ান.
দুটোই ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
একটি ব্লেন্ডারে কাটা বিটরুট, আমলকি এবং জল যোগ করুন এবং এটি পিষে নিন।
এটি ফিল্টার করুন এবং একটি গ্লাসে এটি বের করুন।
এর সাথে কিছু লেবুর রসও যোগ করতে পারেন।
কি জিনিস মাথায় রাখতে হবে?
অ্যালার্জি- আপনার যদি বিটরুট বা গুজবেরি থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে এই জুসটি পান করবেন না।
কিডনি রোগ- কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই জুস পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস- ডায়াবেটিস রোগীদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই জুস পান করা উচিত।
Labels:
health
No comments: