'মহসিন খানকে গ্রেপ্তার করুন, তিনি লাভ জিহাদ ছড়িয়েছিলেন', আইআইটি কানপুরের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় এসিপির বিরুদ্ধে মোর্চা খুলল বজরং দল
আইআইটি কানপুরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত এসিপি মহসিন খানের ঝামেলা বাড়তে পারে। একদিকে অভিযোগকারী পিএইচডি ছাত্রী আদালতে তার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। বলা হচ্ছে ভুক্তভোগী তার বক্তব্যে অটল। অন্যদিকে এসিপিকে গ্রেফতারের দাবিতে মোর্চা খুলেছে হিন্দু সংগঠনের লোকজন। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার তিন-চার দিন পরেও এসিপিকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে বজরং দল ও অন্যান্য সংগঠন গতকাল কমিশনারের অফিসে পৌঁছে প্রতিবাদ জানায় এবং কমিশনারের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করে। তবে এ সময় তাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয়।
আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সোমবার বজরং দলের প্রাক্তন সভাপতি কৃষ্ণ তিওয়ারি তার কয়েক ডজন সমর্থক নিয়ে পুলিশ কমিশনারের অফিসে পৌঁছেছিলেন। যেখানে তিনি বিয়ের নামে আইআইটি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এসিপি কালেক্টর গঞ্জ রাহে মহসিন খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজন অভিযুক্ত মহসিন খানের বরখাস্ত ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, এই মামলায় কোনো সাধারণ মানুষ জড়িত থাকলে তাকে এতক্ষণে গ্রেপ্তার করা যেত, কিন্তু আসামি যেহেতু এসিপি, তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিথিলতা রয়েছে। কর্মকর্তারা শুধু তদন্তের কথা বলছেন।
এ বিষয়ে বজরং দলের কৃষ্ণা তিওয়ারি বলেন- 'এসিপি মহসিন খান লাভ জিহাদ ছড়িয়েছেন। বিয়ের নামে এক দলিত ছাত্রীকে লালসার শিকার করা হয়েছে। তারপরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, অথচ সাধারণ মানুষ অবিলম্বে গ্রেফতার হচ্ছে। দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করব।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কে এসিপি মহসিন খান?
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কানপুর আইআইটি-এর ২৬ বছর বয়সী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মহসিন খান লখনউয়ের বাসিন্দা। মহসিন ২০১৫ ব্যাচের পিপিএস অফিসার। বদলির পর কানপুরে এসে তাঁকে থানার কালেক্টরগঞ্জ ও সাইবার ক্রাইম সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি কানপুর আইআইটিতে সাইবার ক্রাইম, ইনভেস্টিগেশন এবং ক্রিমিনোলজি বিষয়ে পিএইচডি শুরু করেন। যেখানে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করেন মহসিন। অভিযোগ রয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, এরপর মহসিন ওই ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করে শোষণ করে।
ছাত্রী মহসিনের বাস্তবতা জানতে পেরে পুলিশ ও আইআইটি ম্যানেজমেন্টের কাছে অভিযোগ জানায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করে। ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, মহসিন খান অবিবাহিত হওয়ার ভান করে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিয়ের অজুহাতে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। অথচ মহসিন আগেই বিবাহিত।
হট্টগোল বাড়তে থাকলে বৃহস্পতিবার রাতে এসিপি মহসিন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এছাড়াও, অভিযুক্ত এসিপি কানপুর থেকে লখনউ পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ছিলেন। তদন্তের জন্য একটি SITও গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন মহিলা অফিসারও রয়েছেন।
Labels:
Politics
No comments: