Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

ভোটার তালিকায় বেঁচে আছে মৃতরা,হতবাক পরিবারের লোকেরা

 



নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :
ভোটার তালিকায় মৃতদের বেঁচে থাকা ও বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার ঘটনা বাংলায় দশকের পর দশক ঘটে আসছে। ভোটের দিন প্রকাশ্যে আসে। তবে তা নিয়ে সক্রিয় উদ্যোগ বা পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। যা এবারই প্রথম করছে তৃণমূল। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ভুতুড়ে ভোটারদের নিয়েই তারা রাজনৈতিক খেলা খেলবে তা ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন শাসক তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বুথে বুথে ঘুরছেন তৃণমূলের কর্মীরা। ধরছেন ভুতেদের।

সম্প্রতি  বিভিন্ন জেলা থেকে ভুতুড়ে ভোটার তালিকায় ধরা পড়ছে । দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর থেকে একাধিক জেলার ভোটার তালিকায় এখনো পর্যন্ত জীবিত রয়েছে মৃত ব্যক্তিরা। এবার সেই ভুতুড়ে ভোটার লিস্ট উঠে এলো গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৯ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মৃত ব্যক্তিদের নাম এখনো পর্যন্ত ভোটার তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫ জনের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে যারা আবার এলাকায় থাকে না।এমনকি অনেক ভোটার  কর্মসূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলে গিয়েছে ১০ থেকে ১২ বছর আগে কিন্তু তাদের নামও রয়েছে ভোটার তালিকায়।   মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে এমনই ভোটার তালিকাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গঙ্গাসাগরে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  এই ভুতুড়ে ভোটার তালিকায় নিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। ভোটার তালিকার কারচুপি নিয়ে শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই শাসক বিরোধী তরজাও শুরু হয়েছে । বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদল ভোটার তালিকায় কারচুপি করেছে কিন্তু শাসকদলের অভিযোগ বিজেপি সরকার বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে। কিন্তু ভোটার তালিকায় জীবিত ব্যক্তি কিন্তু সরকারি খাতায়-কলমে মৃত।মৃত ব্যক্তির পরিবার সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির। এ বিষয়ে মৃত প্রফুল্ল রানার স্ত্রী মিনতি রানা তিনি বলেন, গত চার বছর আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছে। সরকারি কাগজপত্র রয়েছে। রেশন কার্ডেও মৃত থাকার কারণে রেশন মিলছে না। কিন্তু ভোটার তালিকায় আমার স্বামী জীবিত। বিষয়টি আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। মিনতি রানার মতনই মৃত কাশিনাথ রানার স্ত্রী বৈশাখী রানা তিনি অভিযোগ করছে, দশ বছর আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছে সরকারি কাগজপত্র রয়েছে। মারা যাওয়ার কারণে রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত কিন্তু ভোটার লিস্টে আমি দেখলাম আমার স্বামীর নাম রয়েছে। এ বিষয়টি পঞ্চায়েতের সদস্যকে জানালে পঞ্চায়েত সদস্য বলেন ভোটার লিস্টের নাম থাকবে এখন কাটা যাবে না। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা নান্টু কুমার বেড়া তিনি বলেন, এই ভোটার লিস্টের নামের মাধ্যমে দুর্নীতি হচ্ছে এর সঙ্গে কালোবাজারি যুক্ত রয়েছে। ভোটার লিস্টে নাম থাকার কারণে ওই ব্যক্তির নামে রেশন তোলা হচ্ছে সেই রেশন যাচ্ছে কোথায়। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। অনেকে আছে যারা ১০ থেকে ২০ বছর আগে কর্মসূত্রে ভিন্ন রাজ্যে কিংবা ভিন্ন জেলায় চলে গিয়েছে। তারা সেখানে ভোটার হয়ে গিয়েছে এবং তারা সেই রাজ্যে ভোট দেয় কিংবা সেই জেলার ভোট দেয়। কিন্তু তাদের নাম এই ভোটার লিস্টে রয়েছে। মথরাপুর বিজেপির সংগঠনিক জেলা কনভেনার অরুণাভ দাস তিনি জানান, তৃণমূলের সম্পদ এই ভুতুড়ে ভোটার। তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং এর ভুতুড়ে ভোটের দের জেরে তৃণমূল নির্বাচনে জয়লাভ করছে। ভোটার লিস্টের নাম রয়েছে কিন্তু অনেকে মারা গিয়েছে তাদের নামও এই ভোটার লিস্টে রয়েছে। আমরা চাইবো যে পারিবারিক গিয়ে ভোটার লিস্ট সংশোধন করা হোক। ভোটার লিস্ট যদি সংশোধন করা হয় তাহলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। মানুষ এবার গর্জে উঠেছে। যদিও এই বিষয় গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক  সন্দীপ পাত্র বলেন, বিজেপি সরকার এজেন্সি দ্বারা ভোটার লিস্টে কার চুপি করছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। আমরা চাই ভোটার লিস্ট সংশোধন করা হোক।

কোন মন্তব্য নেই: