Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

সরকারি স্কুলের জমি বিক্রি করে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের জন্য জমি কেনার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

 


শুক্রবার ,৭ মার্চ ২০২৪, ৮ :৩৫ : স্কুলের নামাঙ্কিত  ৩৫০ বিঘা জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ নন্দীগ্রামের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


এবার স্কুলের জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, জমি বিক্রির টাকা দিয়ে  তিনি অন্য একটি জায়গায় জমি কিনেছেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করবেন বলে এমনটাই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের ধান্যখোলা এলাকার বাসিন্দা আমিরুল খাঁ। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা এবং নন্দীগ্রাম এক ভিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। নন্দীগ্রাম এক ব্লকের ব্রজমোহন তিওয়ারী শিক্ষা নিকেতনের নন্দীগ্রাম এলাকায় প্রচুর জমি রয়েছে। তারই মধ্যে প্রায় ৩৫০ বিঘার কাছাকাছি জমি নিজের সম্পত্তি বলে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে  স্কুলের  জমির মধ্যে থেকে বেশ কিছু বর্গা জমি বিক্রি করে,একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করার জন্য নন্দীগ্রামেরই চার গলিয়াতে জমি তিনি কিনেছেন।
সেই জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক।
আমিরুল খান এর দাবি  "নন্দীগ্রাম ব্রজহমোহন তিয়াড়ি শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার শাসমল অবৈধভাবে স্কুলের জমি বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করছেন।"
এই অভিযোগ কে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিতবাবু বলেন "স্কুল তৈরির সময় এলাকার বেশ কিছু শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তি, স্কুলকে বেশ কিছু জায়গা দান করেছিলেন, সেই জায়গার মধ্যে থেকে কিছু জায়গা বর্গাদার দখল করে। বর্তমানে বর্গাদারেরা স্কুলকে না জানিয়ে বেশ কিছু জমি হস্তান্তর করে দিচ্ছে। যেহেতু নন্দীগ্রামে একটি ইংরেজির মাধ্যম স্কুল তৈরি করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে তার জন্য জায়গার প্রয়োজন। তাই ওই বর্গাদার অধিকৃত জমিগুলো বিক্রি করে নতুন একটি জায়গা কেনার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।"
এই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক চাপানো শুরু হয়েছে।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন "নন্দীগ্রাম ব্রজমহল তিয়াড়ি শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে জমি বিক্রি করছেন এবং সেই টাকা নয় ছয় করছেন"।
অপরদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সুদীপ দাস বলেন "তৃণমূল নেতারা সব জায়গায় কাঠ মানি খাওয়ায় অভ্যস্ত, যেহেতু প্রধান শিক্ষক তৃণমূল নেতাদের কাঠ মানি দেয়নি তাই বিভিন্নভাবে প্রধান শিক্ষকের উন্নয়ন মূলক চিন্তাভাবনাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

কোন মন্তব্য নেই: